চুল পড়া অনেকের জন্য বড় সমস্যা। পানি, খাদ্যাভাস, দূষণ ইত্যাদির কারণে অনেকের চুল পড়তে শুরু করে। অনেকেই শ্যাম্পু বা সিরাম ব্যবহার করেন, কিন্তু তাতে চুল পড়া থামে না। ফলে হতাশা বেড়ে যায়।অনেক সময় দেখা যায় ১০ দিনে চুল গজানোর মতো চমকপ্রদ সিরামের শিরোনাম। অধিকাংশ সময় এগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য নয়।
তবে এবার সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে ২০ দিনে চুল পুনরায় গজানো সম্ভব। ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এমন একটি সিরাম তৈরি করেছেন, যা মাত্র ২০ দিনে খালি জায়গায় চুল গজাতে সাহায্য করবে। প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড দিয়ে তৈরি সিরামটি ব্যবহারে ত্বকে কোনো সমস্যা করবে না। ইতিমধ্যেই গবেষণাগারে সফল পরীক্ষার পর এই সিরাম নিয়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বৈজ্ঞানিক মহলে।
যেভাবে প্রস্তুত করা হলো এই সিরামন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুং-জান লিন জানিয়েছেন, তিনি প্রথম নিজেই সিরামটি নিজের পায়ে ব্যবহার করেছেন এবং চুলের বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছেন।
গবেষণায় জানা গেছে, সিরামটি হাইপারট্রাইকোসিস নামে পরিচিত প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। পরীক্ষার জন্য গবেষকরা পুরুষ ও নারী ইঁদুরের পিঠে সোডিয়াম ডোডেসিল সালফেট প্রয়োগ করে একজিমা তৈরি করেছিলেন। ১০-১১ দিনের মধ্যে নতুন চুল গজাতে শুরু করে। ইরিট্যান্ট ইমিউন কোষকে চর্বি কোষের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যা ফ্যাটি অ্যাসিড নিঃসরণ উদ্দীপিত করে, ফলে চুলের ফলিকল স্টেম সেল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
রাসায়নিক ইরিট্যান্ট ছাড়াই অ্যালকোহলে দ্রবীভূত প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন অলিক অ্যাসিড ও প্যালমিটোলিক অ্যাসিড সমন্বিত সিরামও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যাপক লিন জানান, সিরামের অন্যান্য উপাদান ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ, তাই এটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।
সতর্কবার্তাবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন ২০ দিনে চুল পুনরায় গজানো সম্ভব হতে পারে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এটা এখনো প্রমাণিত হয়নি। ভবিষ্যতে যদি মানুষের উপর পরীক্ষা দেখায় সিরামটি নিরাপদ ও কার্যকর, তবে এটি চুল পড়ার চিকিৎসা বদলে দিতে পারে। ততক্ষণ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা বাজারে থাকা সিরামের দিকে অতিরিক্ত ভরসা না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সূত্র: এনডিটিভি, ওনলি মাই হেলথ
আরও পড়ুনসিরাম স্ক্যাল্প ও চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেনপাম অয়েলে চুলের যত্ন
এসএকেওয়াই/এমএস