জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তারিখ পেছানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আপ বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলেছে, ঘোষিত তফসিল শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পূর্ব প্রতিশ্রুতির পরিপন্থি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানান সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন চেয়ে আসছে। কিন্তু কমিশন ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পেছানো হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের গণআকাঙ্ক্ষার প্রতি উপেক্ষা বলে মনে করে আপ বাংলাদেশ। ক্যাম্পাসে এখন এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। তফসিল পেছানো সেই অনিশ্চয়তা আরও ঘনীভূত করবে।
জকসু নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর, পরের দিন ফলএসময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- ঘোষিত তফসিল পুনর্বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন সূচি নির্ধারণ করতে হবে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘জকসু নির্বাচন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও প্রতিনিধিত্বের প্রতীক। এ অধিকারকে বিলম্বিত করার যে কোনো প্রয়াসের বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কিন্তু দৃঢ় অবস্থানে থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের সংগঠক মাসুদ রানা, তাওহীদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচকিউ/এমএএইচ/জিকেএস