অর্থনীতি

রোজার আগে খেজুরের শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ

আসন্ন পবিত্র রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।

সুপারিশে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে করহার ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

রোজা উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর ও শুল্কায়ন যৌক্তিকীকরণ নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটি এরই মধ্যে বাণিজ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনরমজান সামনে রেখে ১০ পণ্য আমদানিতে নগদ মার্জিন কমানোর নির্দেশঢাকায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যমেলা ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর

প্রতিবেদনে ট্যারিফ কমিশন আরও বলেছে, খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত সব ধরনের শুল্কছাড় আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল রাখা যেতে পারে।

শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা ও ইটিআইএন, বিআইএন লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে। সংস্থাটি বলেছে, এতে খেজুরের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।

ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, প্রতিবছর রোজার সময় খেজুরের চাহিদা বাড়ে। এসময় পণ্যটির সরবরাহ সহজলভ্য করতে খেজুর আমদানিতে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ও আমদানি শুল্ক যৌক্তিক করা প্রয়োজন।

এনএইচ/কেএসআর/এমএস