রাজনীতি

বিদেশে বসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অপশক্তি বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে

বিদেশে বসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অপশক্তি এখনো বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলি।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় নির্বাচনি গণসংযোগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের প্রতিবাদে মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা তুলি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকজন দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে। তাই প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা যদি একত্রিত থাকি, সংঘবদ্ধ থাকি প্রতিটি মহল্লায়, তাহলে কোনো অপশক্তি দেশের বাইরে থেকে ইন্ধন দিয়েও আমাদের কিছু করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যে রাজনৈতিক দল লকডাউন ডেকেছে তাদের আমরা কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখছি না। তারা গণহত্যাকারী। তাদের নিরপেক্ষভাবে বিচারের আওতায় আসতে হবে। বিচার হওয়ার পর আমার দেশের জনগণ যদি চিন্তা করে তারা রাজনীতি করার পর্যায়ে এসেছে, তখন চিন্তা করা হবে তারা রাজনীতি করতে পারবেন কি না।

আরও পড়ুনজনগণই আওয়ামী দোসর নামক ভাইরাসকে লকডাউন দিয়েছে: রিজভীফ্যাসিবাদীদের হুমকি-ধামকি রুখে দেওয়া হয়েছে: পরওয়ারগেন্ডারিয়ায় বিএনপির লকডাউনবিরোধী অবস্থান

দেশের জনগণ, আমার এলাকাবাসী তারাই সিদ্ধান্ত নেবে, যারা বিগত ১৬ বছর শুধু হত্যা, গুম-খুন ও জুলাই মাসে ছাত্র-জনতা ভাইদের হত্যা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, তাদের আদৌও কোনো অধিকার আছে কি না আবারও অরাজকতা সৃষ্টি করার? জনগণের দুর্ভোগ আনার, যোগ করেন সানজিদা তুলি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, সব দলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অধিকার আছে, সেটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট। কিন্তু যারা শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য আমার ভাইদের হত্যা করেছে, গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নির্যাতন করেছে শুধু ভিন্ন মত-ভিন্ন দল করার কারণে, তাদের আগে বিচারের আওতায় আসতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সানজিদা তুলি বলেন, ভালো কাজের মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয় আনবো। সামনে আমাদের যুদ্ধ ধানের শীষকে বিজয়ী করে আনা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তিনি গাবতলী টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান তিনি।

রাকিব হাসান/একিউএফ/এমএস