জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম থানার ভেতরে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে একটি বড় বিস্ফোরণে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি আন্তঃরাজ্য সন্ত্রাসী চক্রের সন্ধান পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল জে.কে পুলিশ। ওই উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকের অংশই থানায় রাখা ছিল।
রাত ১১টা ২০ মিনিটের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে থানার ভেতরে বিশাল আগুন ছড়িয়ে পড়ে। থানার চত্বরে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং আশপাশের বড় এলাকাজুড়ে কম্পন অনুভূত হয়।
বেশ কয়েকজনের শরীর দগ্ধ হওয়ায় তাদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় জে-কে পুলিশ ও ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি যৌথ দল সম্প্রতি ফেরিদাবাদ (হরিয়ানা) থেকে উদ্ধার হওয়া অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিল।
তবে পুলিশ এখনো বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ ও হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।
এক কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক অভিযানে ২,৯০০ কেজির মতো আইইডি তৈরির উপকরণ উদ্ধার করে তদন্তের অংশ হিসেবে থানায় সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
এর আগে ১৯ অক্টোবর নওগাম এলাকায় জইশ-ই-মোহাম্মদ সমর্থনকারী পোস্টার দেখা গেলে সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত এগোতে গিয়ে ১ নভেম্বর ড. আদিল আহমদ রাথার এবং পরে আরও এক চিকিৎসক ড. মুজামিল আহমদ গণাই ওরফে মুসাইবকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই চিকিৎসকসহ সাতজন একটি আন্তঃরাজ্য সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য, যারা অর্থ সংগ্রহ, লজিস্টিকস এবং অস্ত্র ও বোমা তৈরির উপকরণ সংগ্রহে জড়িত ছিল।
সূত্র: দ্য হিন্দু
এমএসএম