আইন-আদালত

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা আইনজীবীদের

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করবেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় আইনজীবীরা এজলাসে রায়ের অপেক্ষা করছিলেন। মামলাটির সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মঈনুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সব সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। সিদ্ধান্ত আদালতের। আমাদের প্রত্যাশা সর্বোচ্চ শাস্তির।

সকাল থেকে সরেজমিনে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তা দেখা গেছে। আদালতের প্রধান ফটকগুলোতে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্তক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ আদালতের এজলাসের সামনের বারান্দায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত নিরাপত্তার পাশাপাশি বাড়িতে সতর্কতা রয়েছে। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলেই প্রশ্ন করছেন পুলিশ সদস্যরা।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আরও দুই আসামি যুক্ত হয়ে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরবর্তী সময়ে যুক্ত হওয়া দুই আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এমডিএএ/এএমএ