নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র আক্রমণের মুখে এক নববধূ, ১০ জন নারী এবং এক শিশুসহ মোট ১৪ জনকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। সকটো রাজ্যের চাচো গ্রামে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত থেকে রোববার (৩০ নভেম্বর) ভোরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলিউ আবদুল্লাহি এএফপিকে বলেছেন, গতরাতে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা গ্রামে হামলা চালিয়ে নববধূ ও ১০ জন নারীসহ মোট ১৪ জনকে অপহরণ করেছে। অপহৃতদের মধ্যে এক শিশু, শিশুর মা এবং আরও এক নারীও রয়েছেন।
চাচো গ্রামে এর আগে অক্টোবর মাসে ১৩ জনকে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। তাদের মুক্তির জন্য মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল বলে জানান আবদুল্লাহি। এবারও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
নাইজেরিয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সকোটো এলাকায় অপহরণের ঘটনা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিবেশী কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে করা শান্তিচুক্তি বিরূপ প্রভাব ফেলায় অপরাধীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা সংগঠন।
গত সপ্তাহে কেব্বি রাজ্যে ২৫ শিক্ষার্থী এবং নাইজার রাজ্যে ৩০০–র বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। কেব্বির অপহৃতরা উদ্ধার হলেও নাইজারে অপহৃতদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে।
উত্তর নাইজেরিয়ায় মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গণ অপহরণ এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে স্কুল ও গ্রামীণ সম্প্রদায়। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই এসব হামলা ঠেকাতে হিমশিম খায়।
এদিকে দেশে সহিংসতা বাড়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বুধবার(২৬ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাইজেরিয়ায় কথিত খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ তুলে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন।
তবে মানবাধিকার সংগঠন ও বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, খ্রিষ্টান গণহত্যার দাবি বিভ্রান্তিকর।
সূত্র : আল-জাজিরা
কেএম