ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালের আগে ফিফা কাউন্সিলের সভা হয়েছে কাতারের দোহায়। সেখানে খেলার মানোন্নয়ন ও ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের আর্থিক কাঠামো নিয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভার প্রধান সিদ্ধান্ত ছিল, আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের চেয়ে ৫০ শতাংশ প্রাইজমানি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এই বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৪৮ জাতীয় ফুটবল সংস্থাগুলোর মাঝে বিতরণ করা হবে ৭২৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এই অর্থের মধ্যে ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৪৮টি জাতীয় দলের প্রাইজমানি হিসেবে বরাদ্দ থাকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ৩৩ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থান অর্জন করা দলের পকেটে যাবে ২৯ মিলিয়ন ও চতুর্থ স্থানে থাকা দলটি পাবে ২৭ মিলিয়ন।
এছাড়া, বিশ্বকাপের মূলপর্বে কোয়ালিফাই করা প্রতিটি দল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন ডলার পাবে। ফলে, প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ফুটবল সংস্থার জন্য ন্যূনতম নিশ্চিত আয় দাঁড়াবে ১০.৫ মিলিয়ন ডলার।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জোর দিয়ে বলেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপ শুধু আকার ও ফরম্যাটের দিক থেকেই নয়, বরং বৈশ্বিক ফুটবল সম্প্রদায়ের জন্য আর্থিক সহায়তার মাত্রার দিক থেকেও একটি ঐতিহাসিক আসর হতে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ড্র ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রকাশ পেয়েছে পূর্ণাঙ্গ সূচিও।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের প্রাইজমানির তালিকা
চ্যাম্পিয়ন: ৫০ মিলিয়ন ডলাররানার্স-আপ: ৩৩ মিলিয়ন ডলারতৃতীয় স্থান: ২৯ মিলিয়ন ডলারচতুর্থ স্থান: ২৭ মিলিয়ন ডলার৫ম-৮ম স্থান: ১৯ মিলিয়ন ডলার৯ম-১৬তম স্থান: ১৫ মিলিয়ন ডলার১৭তম-৩২তম স্থান: ১১ মিলিয়ন ডলার৩৩তম-৪৮তম স্থান: ৯ মিলিয়ন ডলার
আইএন/এমএমআর