বরগুনার তালতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরকারের আইন ভঙ্গ করে অহরহ হচ্ছে বাল্য বিয়ে। গত এক মাসে এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৮টি বাল্য বিয়ে হয়েছে। অথচ এসব বাল্য বিয়ে দেওয়ার পূর্বে প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেন।জানাগেছে, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে ১টি, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৩টি, বড়বগী ইউনিয়নে ২টি, ছোটবগী ইউনিয়নে ৪টি, কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৪টি, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে ২টি ও শারিকখালী ইউনিয়নে ২টি বাল্য বিয়ে হয়েছে। অধিকাংশ বিয়েই কাজীদের উপস্থিতিতেই হয়েছে।বাল্য বিয়ের শিকার বেশীর ভাগ কিশোরী ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টার অনুযায়ী এদের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছর হলেও ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদে তাদের বয়স দেখানো হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ বছর।স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাজী শহিদুল ইসলাম সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করছেন। এমনকি তিনি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নেও বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করছেন। তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একাধিক বার অভিযোগ দেয়া হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন পদক্ষেপ নেননি।অবাধে বাল্য বিয়ে হওয়ার কারণে একদিকে যেমন স্কুল-মাদরাসা থেকে ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থী অন্যদিকে বাল্য বিয়ের বহু কুফল পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বত্র। অপরিনত বয়সে বিয়ের কারণে সু-স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা পরিপূর্ণ সংসার গঠন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক কিশোরী।এ ব্যাপারে উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি ও বড়বগী ইউনিয়ন কাজী ছাইদুর রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক অভিভাবকরা জন্ম সনদ নিয়ে আসলে বিবাহ পড়ানো ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকেনা। এবং জন্ম সনদ ভুয়া হলে তাদের কিছুই করার নেই।এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী তোফায়েল আহমেদ জাগোনিউজকে বলেন, এলাকাবাসী কাজীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।এমএএস