জয়পুরহাটে জামিনের পর কারাগারের মূল ফটক থেকে গোয়েন্দা পুলিশের তুলে নিয়ে যাওয়া নাশকতা মামলার সেই চার আসামিকে গান পাউডার, পেট্রোল বোমা ও ককটেল সাদৃশ হাত বোমাসহ গ্রেফতারের দাবি করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোর রাতে জেলা সদরের হিচমী কৃষি কলেজের পরিত্যক্ত ভবন থেকে ৩০০ গ্রাম গান পাউডার, ৮টি পেট্রোল বোমা, ২টি ককটেল সাদৃশ হাত বোমাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের নিহাজ উদ্দিনের ছেলে শাহ্ আলম, মিটনা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, দন্ডপানি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম ও মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদুল আলম। তবে গ্রেফতার শাহ্ আলমের স্ত্রী ববি খানম ও শিবির নেতা নাহিদুল ইসলামের বোন নাহিদাসহ স্বজনদের দাবি, আদালত থেকে জামিনের পর গত ৩ দিন আগে ১৪ মার্চ রাত ৯টার দিকে জয়পুরহাট কারাগারের মূলফটক থেকে পুলিশই তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়পুরহাট কারাগারের একাধিক কর্মচারীও জানান, মাইক্রোবাস নিয়ে জেলগেট থেকে জামিনপ্রাপ্তদের আবারো আটক দেখিয়ে পুলিশই নিয়ে গেছে।এদিকে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধ ও হরতালের সময় জয়পুরহাটে বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোল বোমা, গান পাউডার, ককটেলসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও পুলিশ দাবি করেছে।অপরদিকে জয়পুরহাট গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধ ও হরতালের সময় জয়পুরহাটে বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশের করা মামলায় ওই ৪ আসামি ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে আত্মসর্মপণ করলে আদালতের রায়ে তাদের জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কী হয়েছে তা গোয়েন্দা পুলিশের জানা নেই। জামায়াত-শিবির নেতাদের স্বজনদের দাবি অনুযায়ী সদ্য জামিনপ্রাপ্ত ও গত ৩ দিন আগেই জেলগেট থেকে পুলিশের হাতে আটক জামায়াত নেতাদের আবারো বোমা-ককটেলসহ গ্রেফতারের ঘটনায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন। রাশেদুজ্জামান/এফএ/এমএস