বিপদ এবং মুসিবতে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা জরুরি। যে ব্যক্তি একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করার পাশাপাশি তাঁরই শিখানো ভাষায় দোয়া করে। আল্লাহ তাআলা তাঁর ওপর ভরসাকারী ব্যক্তিদের দুনিয়ার যাবতীয় অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে হেফাজত করবেন।
জুলুম ও অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকতে হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যে দোয়া করেছিলেন; আল্লাহ তাআলা ওই দোয়াটি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য কুরআনুল কারিমের তুলে ধরেছেন-উচ্চারণ : রাব্বানা লা তাঝআ'লনা ফিতনাতাল লিল ক্বাওমিয যা-লিমিন। ওয়া নাঝঝিনা বিরাহমাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরিন। (সূরা ইউনুস : আয়াত ৮৫-৮৬)
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর এ জালেম (অত্যাচারীর) কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে অবিশ্বাসীদের কবল থেকে মুক্তি দাও।
দোয়ার উৎসবনি ইসরাইল জাতির মধ্যে যারা হজরত মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি ঈমান এনেছিল; জালেম ফেরাউন তখন বনি ইসরাঈলের ওপর অত্যাচার শুরু করে।
মুসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলে মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর ওপর ভরসা করতে বলেন। তখন বনি ইসরাঈল সম্প্রদায় আল্লাহর ওপর ভরসা করেন।
তখন আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাঈল সম্প্রদায়কে ফেরাউনের ভয়াবহ জুলুম থেকে হেফাজত করেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে মারেন।
পরিশেষে…মানুষের ঈমানের অগ্নিপরীক্ষায় বিপদ-আপদ তথা দুঃখ-বেদনায় ধৈর্য ধারণ করা জরুরি। আর অত্যাচার নির্যাতনের মুহূর্তে আল্লাহ তাআলার শিখানো দোয়ার মাধ্যমে তাঁর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করাই মুসলিম উম্মাহর একান্ত কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে জালেম জুলুম থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম