ঈমান গ্রহণ করার পর মুসলমানের প্রথম ও প্রধান ইবাদত হলো নামাজ। এ কারণেই ঈমানের পরে নামাজের স্থান। যা ইসলামের দ্বিতীয় রোকন। আর তাই নামাজ পরিত্যাগ মারাত্মক অপরাধ।
মুসলমান এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী ইবাদতও নামাজ। এ কারণেই কোনো মুসলমানেরই নামাজ পরিত্যাগ করা ঠিক নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলমানের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বেশি নামাজ প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন।
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন। যাতে রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের সুস্পষ্ট ক্ষতির বর্ণনা।
বেনামাজির পরিণতি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা>> অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামাজ নষ্ট করল (নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকল) এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা (অমঙ্গল) প্রত্যক্ষ করবে। (সুরা মারইয়াম : আয়াত ৫৯)>> ‘অপরাধীদের সম্পর্কে (জান্নাতিরা বালাখানায় বসে প্রশ্ন করবে) বলবে, তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে? (তখন) তারা বলবে, আমরা নামাজ পড়তাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসির : আয়াত ৪১-৪৩)>> অতএব দুর্ভোগ ওই সব নামাজির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর। যারা তা (নামাজ) লোক দেখানোর জন্য আদায় করে।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৬)>> ‘স্মরণ কর সেই চরম সংকটময় কেয়ামতের দিনের কথা; যে দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা (নামাজ আদায়) করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি তাদেরকে অবনত, হীনতায় আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা (নামাজ আদায়) করতে। (কিন্তু তারা সিজদা করেনি)। (সুরা ক্বালাম : আয়াত ৪২-৪৩)>> সুতরাং দুর্ভোগ তথা ওয়াইল নামক দোযখের কঠিন শাস্তি সেই নামাজি ব্যক্তির জন্য যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন। (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)
ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পরিত্যাগের ব্যাপারে পরকালে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত যথাযথভাবে নামাজ আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে একনিষ্ঠতার সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।
বেনামাজি প্রসঙ্গে কুরআনে বর্ণিত সব ভয়াবহতা ও অনিষ্টতা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর