ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেনের’ প্রভাব কেটে গেলেও বরিশালে এখনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার সকালে গুড়ি গুড়ি এবং বিকেলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গভীর সমূদ্রে কোন নিম্নচাপ না থাকলেও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীন নদী বন্দরে ২ নম্বর এবং সমূদ্র বন্দরে জারী করা হয়েছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। ফলে বরিশালের অভ্যন্তরীন রুটে শুক্রবার ছোট (৬৫ ফিটের কম দৈর্ঘ্যের) লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ আঘাত হানতে পারে আশংকায় বৃহস্পতিবার ঢাকা রুটেরসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। আজ সন্ধ্যার পর ঢাকা-বরিশাল নৌ-পথে বড় লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আবুল বাশার মজুমদার।দুপুর ৩টার দিকে বরিশালে বাতাসে আদ্র্র্রতার পরিমান ছিল ৭৬ ভাগ, অর্থাৎ এখনো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। বিকেলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. ইউসুফ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কোমেন বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার এবং সেন্ট মার্টিন উপকূলে আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করেছে। তারপরও বাড়তি সতর্কতার জন্য সমূদ্রবন্দরে ৩ নম্বর এবং অভ্যন্তরীন নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।সাইফ আমীন/এআরএস