কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও রোববার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। এ রুটের লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীর চাপে ফেরিতে জরুরি গাড়ি ওঠাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিকেল পর্যন্ত উভয় ঘাটে আটকে আছে আট শতাধিক ছোট-বড় পরিবহন। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবং তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। বিশেষ করে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে দেড় ঘণ্টার জায়গায় প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। এ কারণে ঘাটে দূরপাল্লার পরিবহন ও প্রাইভেটকার আটকা পড়ছে।
বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় তারা মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ হালকা যানবাহনে প্রায় তিনগুণ ভাড়া গুনে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে পারছেন।
বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের পারাপারেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এসআর/জেআইএম