যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ইভা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। মৃত্যুর পর তার মরদেহ বাবার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) মাদারীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, এক বছর আগে চরকালিকাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের মেয়ে ইভা বেগম ভালবেসে বিয়ে করেন একই গ্রামের সিরাজ বেপারীর ছেলে রিয়াজ বেপারীকে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য ইভাকে প্রায় মারধর করতো রিয়াজ। অনেকবার টাকা দিয়েও ছেলের পরিবারকে খুশি করতে পারেনি। সবশেষে দুই লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার দাবি করেন রিয়াজ ও তার পরিবার। টাকা ও স্বর্ণালংকার না পেয়ে গত ৭ আগস্ট (শনিবার) সকালে ইভাকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে বাবার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পরে স্বজনরা ইভাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার উন্নতি হলে ৯ আগস্ট (সোমবার) স্বামীর পরিবারের লোকজন এসে ইভাকে শশুরবাড়িতে নিয়ে যান। তার অবস্থা খারাপ হলে ফের সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। ইভার মরদেহ বাবার বাড়ির সামনে রেখে চলে যায় রিয়াজসহ তার পরিবার।
ইভার চাচা সবুজ হোসেন বলেন, দুই লাখ টাকা আর চার ভরি সোনার জন্য ইভাকে হত্যা করে রিয়াজ ও তার পরিবার। আমরা ইভা হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একে এম নাসিরুল হক/আরএইচ/এএসএম