দেশজুড়ে

বন্ধ ফেরি, ঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স-ব্যক্তিগত গাড়ি

তীব্র স্রোতের কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এতে বাংলাবাজার ঘাটের টার্মিনালে আটকে থাকা শত শত পণ্যবাহী ট্রাক বিকল্প রুট হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ফিরে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বাংলাবাজার ফেরিঘাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘাটেই নোঙর করে রাখা আছে ফেরিগুলো। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘাটের পন্টুনের পথ তলিয়ে গেছে। ফেরিতে ওঠার পথে ইট দিয়ে স্বাভাবিক করা হচ্ছে। এছাড়া ঘাটের টার্মিনাল ফাঁকা।

এছাড়া ঘাটে আসা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল কিছু সময় অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছে বিকল্প পথে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঘাট থেকে শিমুলিয়া যাওয়ার সময় পদ্মা সেতু অতিক্রম করতে গিয়ে প্রবল স্রোতের মুখে পড়ে ফেরিগুলো। দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি। ঘাটের টার্মিনালে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের পাটুরিয়া রুট ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়। ওইদিন রাতেই ট্রাকগুলো বাংলাবাজার ঘাট ত্যাগ করে।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এ নৌরুট দিয়ে আসা যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ফেরি বন্ধের বিষয়টি না জানায় অনেকে ঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

মাদারীপুর থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী মো. ইউসুফ কাদের বলেন, সকালে ঘাটে এসে দেখি ফেরি বন্ধ। কবে চলবে তা নিশ্চিত নয়। এখন অন্য রুট দিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছি।

বরিশাল থেকে আসা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সচালক সোহান বলেন, ফেরি বন্ধ জানা ছিল না। এখন রোগী নিয়ে আবার পাটুরিয়া ঘাটে যেতে হবে। অনেকেই ঘাটে এসেছিল। এখন ফিরে যাচ্ছে।

এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই যাত্রীরা লঞ্চে যেতে পারছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বুধবার দুপুর থেকে বন্ধ ফেরি। আমরা ঘাটে আসা সব যানবাহন বিকল্প নৌরুট ব্যবহারের জন্য বলেছি।

এ কে এম নাসির হক/এসজে/জেআইএম