মাগুরা সদরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিহত চারজনের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাদ মাগরিব জানাজা শেষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াছিন কবীর জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিহতদের মরদেহ সন্ধ্যায় তাদের পরিবারের সদস্যরা জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ আলী হাসান সমর্থিত দু-গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন- জগদল দমদমা পাড়ার মৃত সাবাজ উদ্দিনের দুই ছেলে সবুর মোল্যা (৫৫) ও কবির মোল্যা (৫০), চাচাতো ভাই রহমান মোল্ল্যা (৫০) ও লুৎফার মোল্ল্যার ছেলে ইমরান হোসেন (২৫)।
নিহত সবুর মোল্যার স্ত্রী মিলিনা বেগম অভিযোগ করেন, তার সামনে স্বামী সবুরকে নজরুল ও তার সমর্থকরা গলা কেটে হত্যা করে। তিনি দোষীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করেন।
অন্য পক্ষের নিহত ইমরান হোসেনর চাচি গোলাপী বেগম অভিযোগ করেন, ওই এলাকায় একটি মাছের ঘেরে কাজ করত ইমরান। ঘটনার দিন সকালে মাছের খাবার দিতে গেলে প্রতিপক্ষ সবুর মোল্যার লোকজন তাকে হত্যা করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় নবির, ওলিয়ার, শুভ মোল্ল্যা, মনিরুল ইসলাম, জহুর মোল্যাসহ ছয়জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে জহুর মোল্যা ও অলিয়ার নামে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর এলাকায় লুটপাটের আশঙ্কায় অনেকেই বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
গৃহিণী স্বপ্না বেগম জানান, এলাকায় খুন হয়েছে তাই লুটপাটের ভয়ে তার বাড়ির ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিস পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
ভ্যানচালক মালেক জানান, তিনি মাগুরা শহরে থেকে রিকশা চালান। কিন্তু গ্রামে হত্যার ঘটনায় লুটপাট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তাই তার বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এসজে/জেআইএম