মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে একটি লঞ্চের স্টাফকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে টার্মিনাল ইন্সপেক্টর (টিআই) আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখেন স্টাফরা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে লঞ্চ চলাচল। পরে মালিক সমিতির হস্তক্ষেপে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বাংলাবাজার ঘাটে এমভি আকাশ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হলে স্টাফ সেলিম শেখের কাছে টিআই আক্তার হোসেন ৫০০ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম শেখ ১০০ টাকা দিতে রাজি হন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে টিআই আক্তার হোসেন সেলিম শেখকে পিটিয়ে জখম করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘাটগুলোতে অবস্থানরত শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল ৯টা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন। লঞ্চ মালিক সমিতির আশ্বাসে দেড় ঘণ্টার পর সাড়ে ১০টায় চলাচল শুরু হয়।
আহত স্টাফ সেলিম শেখ অভিযোগ, ‘প্রত্যেকটি লঞ্চের ট্রিপ প্রতি টিআই ১০০ টাকা করে নেন। কিছুদিন ধরে তিনি লঞ্চগুলো থেকে আরও বেশি টাকা নিচ্ছেন। আজ তিনি আমাদের লঞ্চে বেশি যাত্রী নেওয়া হয়েছে দাবি করে ৫০০ টাকা দাবি করেন। দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। আমরা তার বিচার চাই।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টার্মিনাল ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ টাকা চাওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এখন কালবৈশাখী ঝড়ের মৌসুম। ওই লঞ্চটিতে নাবিক সংকট থাকার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লঞ্চটি বন্ধ রাখতে বলি। তাই স্টাফরা আমার অফিস রুমে ঢুকে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমিও ধাক্কা দিলে ওই স্টাফের কানের কিছু অংশ কেটে যায়। তাই স্টাফরা জোট বেঁধে লঞ্চ বন্ধ রেখেছিল।’
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির জাগো নিউজকে বলেন, স্টাফরা লঞ্চ বন্ধ করে দিলে আমরা বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
একে এম নাসিরুল হক/এসজে/এএসএম