রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে অধিক সংখ্যক যানবাহন থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
ঘাট থেকে রাজবাড়ী যেতে ১০০, কালুখালী ও পাংশা যেতে ১৫০-২০০ এবং কুষ্টিয়া যেতে ৩০০-৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ফরিদপুর, মধুখালীসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের টার্মিনাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ও টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে পদ্মা পারি দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। লঞ্চ ও ফেরিতে করে দৌলতদিয়া ঘাট আসছে এসব যাত্রী ও যানবাহনগুলো। ফেরি থেকে নেমে টার্মিনাল এলাকায় এসে যাত্রীবাহী বাস, মাহেন্দ্রা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন বাহনে রাজবাড়ী, পাংশা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মধুখালীসহ গন্তব্যে যাচ্ছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। পাশাপাশি মোটরসাইকেলে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেককে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এরুটে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।
রাশেদ রায়হান, সোহেল মিয়া, সাগর হোসেন, আব্দুল্লাহসহ একাধিক যাত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় এবার ভোগান্তি না হলেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া পর্যন্ত এসেছেন তারা। ঘাট থেকে গন্তব্যে যেতে মাহেন্দ্রা, ইজিবাইক ও বাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। রাজবাড়ী যেতে ৪০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা, কালুখালীর ৮০-৯০ টাকার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা এবং কুষ্টিয়া যেতে ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়া চাচ্ছেন চালকরা।
মাহেন্দ্রা চালক ইমরান ও শাহিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে কিছুটা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। তবে নির্দিষ্ট না, যার কাছ থেকে যেমন পারছেন, তেমন নিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে মাহেন্দ্রা, অটোরিকশার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
রুবেলুর রহমান/এসআর/এএসএম