দেশজুড়ে

ঢাকা-পটুয়াখালী নৌরুটে যাত্রীদের চাপ

ঢাকা-পটুয়াখালী নৌরুটে পুরোনো চিত্র ফিরে এসেছে। গত দুদিন ধরে এ রুটে চলাচলকারী প্রতিটি লঞ্চের কেবিন, ডেক, করিডোর ও চলাচলের পথে নেই তিল ধারণের ঠাঁই। সামান্য ভোগান্তি থাকলেও স্বস্তিতে ফিরছেন মানুষ।

শুক্রবার (৮ জুলাই) ভোরে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালী ঘাটে পৌঁছে পাঁচটি লঞ্চ। এর মধ্যে সবগুলো লঞ্চই যাত্রীদের নামিয়ে ফিরে গেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সদরঘাট থেকে এমভি সুন্দরবন ১৪, এমভি পূবালী ১২, এমভি প্রিন্স আওলাদ, এমভি কামাল-১ ও এমভি ছত্তার খান ছেড়ে আসে। প্রতিটি লঞ্চে ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। বিগত সময় লঞ্চগুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া থেকে কম যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় আবারও নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে গেছে অধিকাংশ লঞ্চ।

এমভি সুন্দরবন ১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ইউনুস হোসাইন বলেন, যাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমরা পটুয়াখালী ঘাটে অবস্থান করছি। যেহেতু জরুরি কোনো প্রয়োজনে পটুয়াখালী থেকেও অনেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। অন্যান্য লঞ্চে ভাড়া বেশি নিলেও সুন্দরবন লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ১৩০০ ও ডাবল কেবিন ২৫০০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে অনেক লঞ্চ সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ ও ডাবল কেবিন ২৮০০ করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ডেক যাত্রীদের ভাড়া রাখা হচ্ছে ৫০০ টাকা করে।

এদিকে বিগত বছরগুলোতে ঢাকা থেকে লঞ্চের কেবিন পেতে ভোগান্তি থাকলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কেবিন পাওয়া এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। আগে ভিআইপি কেবিন ও নরমাল কেবিনগুলো পেতে বিভিন্ন তদবিরের প্রয়োজন হতো।

ঢাকা থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী আশা যাত্রী মোখলেছু রহমান মৃধা বলেন, আগে কেবিন পেতে অনেক তদবির লাগতো এবার সহজেই পেয়েছি। পদ্মা সেতু হলেও পরিবার নিয়ে চলাচল করতে লঞ্চকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

আব্দুস সালাম আরিফ/আরএইচ/এমএস