সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ) ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হত্যার এক মাসেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, আসামি খুঁজে পাচ্ছে না তারা। অথচ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নাহিদ হাসান। শুধু তাই নয় সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাবিবের বড় ভাই বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে এখনো পুলিশ তদন্ত করছে, আসামি খুঁজে পাচ্ছে না এসব বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসছে। ভিডিও ফুটেজে আসামি সনাক্ত হওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে আসামি ধরা হচ্ছে না বলে দাবি পরিবারের। যে কারণে আসামি নাহিদ হাসান এখন ঘটা করে বিয়ে করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।জানা যায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা নাহিদ হাসান ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ছাত্রলীগের সাগর গ্রুপের কর্মী নাহিদ। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এমবিএর ছাত্র, পাশাপাশি একটি বেসরকারি ব্যাংকেও কর্মরত তিনি। হাবিব হত্যার পর নাহিদকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।বিয়েতে উপস্থিত থাকা সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ছাত্র জানান, গত শুক্রবার সিলেট নগরের সুবিদবাজারের পল্লবী কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করেন বিয়ের আয়োজন করেন নাহিদ। কনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সাবেক সাংসদ শাহিনুর পাশা চৌধুরীর ভাতিজি। এই বিয়েতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অনেক নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের একটি ছবিতে দেখা যায় বরের সঙ্গে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিলেট সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আমি মেয়ে পক্ষের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। বর কে জানতাম না।সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, হাবিব হত্যার আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। আসামি নাহিদের বিয়ে সম্পর্কে কেউ জানায়নি পুলিশকে।প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী কাজি হাবিবুর রহমান হাবিব নিজ গ্রুপের কর্মীদের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় আসামি নাহিদসহ ১৫ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছামির মাহমুদ/এসএস/আরআইপি