বিশেষ প্রতিবেদন

কাউন্সিলের আকর্ষণ গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। আগামী ২৮ মার্চ (সোমবার) ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে এ পরির্বতন আনা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ পদের সংখ্যা বাড়াতেই গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, কাউন্সিল সফল করতে দলের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন প্রায় শেষ পর্যায়ে। জাতীয় কাউন্সিলের আগেই বাকি সম্মেলনগুলো শেষ করা হবে। আসন্ন কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। উপমহাদেশের রাজনীতিতে ছয় দশকেরও বেশি সময় নানা ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আগামী ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে দলটির ২০তম জাতীয় কাউন্সিল। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পাশাপাশি দলকে আরো সংগঠিত করতে এবারের সম্মেলনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো ৭৭টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন শেষ করে জাতীয় কাউন্সিল করা হবে। ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন জন্ম নেয়া দলটির এবারের কাউন্সিল নতুন একটি রাজনৈতিক যুগের সূচনা করবে বলে আশা করছেন নেতারা। এবারের কাউন্সিলের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন। উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে জাতীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনের দিক-নির্দেশনা দেয়া থাকলেও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ নিয়ে কিছুই উল্লেখ নেই। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করায় গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে হবে আওয়ামী লীগকে।আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে স্পষ্ট বিধান থাকলেও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নে কিছুই উল্লেখ নেই। আর এ কারণেই গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে হবে দলটিকে।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, নানা কারণে এবারের কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতি করে আসছে। আসন্ন কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সেই ধারা আরো পাকা হবে।তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করতে হয়েছে। সময় এবং বাস্তবতার সঙ্গে তাল রেখে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন জরুরি। তারই ধারাবাহিকতায় দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টির জন্য গঠনতন্ত্র পরিবর্তন হতেই পারে।এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে মনোনয়নে নির্বাচনী পরিপত্রের পরিবর্তন করতে হয়েছে। একই কারণে দলের গঠনতন্ত্রেরও পরিবর্তন আনতে হবে।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সংবিধান এবং সকল বিধিবিধান মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইতোমধ্যেই গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার পরেই সংগঠনের জাতীয় কমিটির সভায় গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের বিষয়টি পাস করিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।এএসএস/এসকেডি/আরএস/এমজেড/এআরএস/আরআইপি