খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চান গেইলরা

বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তেই বোর্ডের সঙ্গে বাধলো ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের ঝামেলা। পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এই বিরোধের কারণে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ক্রিস গেইলদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কট করারও। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউসিবি) হার্ডলাইনে অবস্থান করায়, সুর নরম করতে বাধ্য হচ্ছেন সম্ভবত বিদ্রোহী ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বলছেন, আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চাই।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক এবং সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য ক্রিকেটারদের প্রতি আহ্বান জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু চুক্তির প্রস্তাবে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, ম্যাচ ফি, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ফি, স্পন্সরশিপ থেকে প্রাপ্ত অর্থ কিংবা প্রাইজমানির অর্থ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে ডব্লিউসিবি। বিষয়টা মানতে নারাজ ক্যরিবীয় ক্রিকেটাররা।এ কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলের প্রতিনিধি হয়ে বোর্ডের কাছে দু’বার চিঠি লিখেন ড্যারেন স্যামি। সেখানে তিনি আহ্বান জানান, অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো দ্রুত নিরসন করার জন্য। না হয়, তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও বয়কট করতে পারেন।খেলোয়াড়দের হুমকির প্রেক্ষিতে পাল্টা হুমকি দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মিচেল মুইরহেড জানিয়ে দেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তিতে স্বাক্ষর না করলে তাদেরকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে দল পাঠানো হবে। বোর্ডের অনমনীয় মনোভাবের পর আবারও ই-মেইল করেছেন ড্যারেন স্যামি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চাই। তবে, তার আগে আমাদের দাবি, ম্যাচ ফি ডাবল করতে হবে। স্পন্সরশিপে ৫০ ভাগ শেয়ার দিতে হবে এবং প্রাইজমানি পুরোপুরি খেলোয়াড়দের দিতে হবে।’ ড্যারেন স্যামি এটাও জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে যদি বোর্ড বিষয়টা সুরাহা করতে চায়, তাহলে তারাও আলোচনায় বসতে রাজি।বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মুইরহেডকে লেখা ই-মেইলে স্যামি লেখেন, ‘দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই দ্রুত জটিলতার নিরসন হোক এবং আমরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে মনসংযোগ করি। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে আমি বিষয়টার সমাধান চাই এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।’ আইএইচএস/এমএস