মিয়ানমারের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইয়ের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শনিবার স্থানীয় এক দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান ও উপ-সেনাপ্রধানের চাকরির মেয়াদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।দেশটির স্থিতিশীলতা নিয়ে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে সেনাবাহিনীর আলোচনার মাঝে সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানো হলো। এই পদক্ষেপের অর্থ হচ্ছে, সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে মিং অং হ্লেইংয়ের ক্ষমতার ভিত্তি সুসংহত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সংবেদনশীল সময়ে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে পুনর্বিন্যাস এড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া সু চির সঙ্গে সেনাপ্রধানের আলোচনা আরো জোরদার হবে। স্থানীয় পত্রিকা দ্য ভয়েস এক প্রতিবেদনে বলছে, সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইং, যিনি শিগগিরই ৬০ বছর বয়স পূর্ণ করছেন, তার মেয়াদ বৃদ্ধি করে আরো পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এছাড়া উপ-সেনাপ্রধান সো উইনের মেয়াদও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। নভেম্বরে দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কাছে বিপুল ব্যবধানে হেরে যায় সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন অ্যান্ড সলিডারিটি পার্টি (ইউএসডিপি)। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসনের কবল থেকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে দেশটিতে। আগামী ১ এপ্রিল নতুন সরকারের মেয়াদ শুরু হবে। ১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ পর ডেমোক্র্যাসি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জয়ী হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি ধাক্কা খেতে পারে। কেননা দেশটির সংবিধান অনুযায়ী সংসদে সেনাবাহিনীর জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত আছে। এছাড়া আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে। যদিও সু চির সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সমঝোতা হচ্ছে কিনা সেবিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। এদিকে, বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা এনএলডির প্রধান সু চিই দেশটির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু দেশটির সাংবিধানিক বিধি-নিষেধের কারণে তিনি এই পদে আসীন হতে পারবেন না। তাই সু চিকে ক্ষমতায় বসাতে ২০১১ সালে সংবিধানে যোগ করা সেই বিধি সংশোধন করতে চায় এনএলডি।এসআইএস/আরআইপি