জাতীয়

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে সোমবার পালিত হলো বিশ্ব এইডস দিবস। ‘বিশ্ব এইডস দিবস’-এর এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস মৃত্যু নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো সবাই এই আমাদের অঙ্গীকার’।দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগ এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করে। এইডস সম্পর্কিত সচেতনতামূলক টি-শার্ট, লিফলেট ও পোস্টার, বিতরণ -এর মধ্যে দিয়ে পদযাত্রাটি সকাল সাড়ে ৮ টায় বিএসএমএমইউ থেকে শুরু হয়ে তা বিভিন্ন ব্লক প্রদক্ষিণ করে বিএসএমএমইউ এর নবনির্মিত বহিঃবিভাগে গিয়ে শেষ হয়।পদযাত্রাটির উদ্বোধন করেন- বিএসএমএমইউএর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। এ সময় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমিন মিয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ শিকদার, পরিচালক হাসপাতাল, ব্রিগে. জেনা. (অব.) মো. আব্দুল মজিদ ভূইয়া, প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও পিএমটিসিটি প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর সালেহা বেগম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।পদযাত্রার উদ্বোধনকালে প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, সারা বিশ্বে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রতিরোধযোগ্য একটি কারণ হচ্ছে এইচআইভি সংক্রমণ। এই সংক্রমণ গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং মাতৃদুগ্ধ পান করার মাধ্যমে হয়ে থাকে। মা হতে শিশুর এই সংক্রমণ প্রতিরোধযোগ্য। ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সরকারী পর্যায়ে প্রথমবারের মতো গত ১৬ মে ২০১৩ইং থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা প্রদান অবস্ এন্ড গাইনী বিভাগের মাধ্যমে বিএসএমএমইউ শুরু করেছে এবং এ সেবা অব্যাহত ভাবে চলছে।শহীদুল্লাহ শিকদার বলেন, বাংলাদেশে এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম হলেও এ বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ পাশ্ববর্তী দেশ সমূহে এইচআইভিতে আক্রান্ত অনেক রোগী রয়েছে। আবার বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিদেশে অবস্থান করছেন বা যাওয়া-আসা করে থাকেন। তাঁদের মাধ্যমেও এইচআইভি বা এইডস সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।