চিনি হুকুমু, চিনি সিনিমুং (আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের পরিচয়) প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী ‘বৈসু’ উৎসব।
উৎসবকে সামনে রেখে শনিবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ও ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম’ আয়োজন করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি খাগড়াছড়ির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গরয়া নৃত্য পরিবেশন ও আলোচনা সভা শেষে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা।
এসময় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুল হাসনাত, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর জাহিদ হাসান, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানে আলম, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশীষ ত্রিপুরা মিঠুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী চৈত্র সংক্রান্তি থেকে তিনদিন বৈসু উৎসব উদযাপন করে। পুরোনো বছরের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন উদযাপন করেন তারা। হারি বৈসু, বৈসুমা ও বছর কাতাল নামে সাধারণত চৈত্রের ৩০, ৩১ ও ১ বৈশাখ এ তিনদিন বৈসু উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসআর/এএসএম