রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সুমন সবুজকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নিহত ছাত্রলীগ নেতার বাবা সামছুল আলম বাবু বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা সবুজের নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এদিকে নিহত সবুজের বাড়ির পাশে একটি বালুর চাতাল এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন রাতে ৩০-৩৫ জনের একটি দল পদ্মা নদীর দিক থেকে বেড়িবাঁধ পার হয়ে সবুজের বাড়ির সামনে আসে। কিছু সময় পরে তারা একই পথ দিয়ে বেড়িবাঁধের ওপর আসে। অল্প সময়ের জন্য একটা জটলা তৈরি হয়। এরপর হেঁটে সবাই পদ্মা নদীর দিকে চলে যায়।
আরও পড়ুন: নিজ বাড়িতে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নিহত সবুজের প্রতিবেশী এবং জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসজাদ হোসেন ওরফে আরজু জাগো নিউজকে বলেন, বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা বাজারের পাশে গল্প গৃহ রিসোর্ট নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সবুজসহ কয়েকজন পদ্মা নদীতে নৌকায় পর্যটক ঘোরানো ও শিশুদের জন্য কিছু রাইড চালু করেন। ঘটনার দিন রাতে সবুজের বাড়ির একটি রুমে বসে কয়েকজন হিসাব-নিকাশ করছিলেন। এ সময় জানালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে সবুজ ও তার ব্যবসায়ী সহযোগী সজীব গুলিবিদ্ধ হন। পরে সবুজ ফরিদপুর মেডিকেলে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী শেখ জুয়েল বলেন, সবুজের ঘরের রুমের মেঝেতে বসে সবাই হিসাব-নিকাশ করছিলেন। হামলাকারীরা প্রথমে জানালায় টক টক শব্দ করে। কে টক টক করছে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় বাইরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সবুজ মাথা উঁচু করে বাইরে কে আছে জানতে চায়। এ সময় জানালা দিয়ে গুলি করা হয়। গুলির শব্দের পর সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমিও ঘর থেকে বেরিয়ে যাই। বাড়িতে আসার পর কয়েকজন মিলে ধর ধর বললে সেখানে যাই। গিয়ে দেখতে পাই সবুজের কপালে গুলি লেগেছে। সে লুটিয়ে পড়ে আছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, নিহতের বাবা মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।
রুবেলুর রহমান/এসজে/জেআইএম