মেঘনা নদীর চাঁদপুর নৌ-সীমানায় জাটকা নিধনের দায়ে ২১ জেলেকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যামাণ আদালত। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, মার্চ-এপ্রিল ২ মাস পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভায়াশ্রম চলাকালে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এসময় কিছু অসাধু জেলে পদ্মা-মেঘনা নদীতে মৎস্য অধিদফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন করছে। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মো. রাশেদ মৎস্য ইনস্টিটিউট সহকারী পরিচালক শাহিদুর রহমান ও পুলিশ বিভাগের এসআই মনছুর আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ছয় জেলেকে আটক করে।তারা হলেন, মো. রাসেল খান (২৪), ফয়সাল মিজি (২২), বিলাল হোসেন (৩০), রনি (১৮), ইসমাইল বকাউল (৪০), মো. ফারুক (৪৫)। এদের সকলের বাড়ি সদর উপজেলা কল্যান্দী এলাকায়। অপরদিকে, হাইমচর মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝাটকা নিধনকালে চার জেলেকে আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সারোয়ার কামাল ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বিলাল হোসেন (৩০), মনির হোসেন (৩৫), মহসিন (২৫), দেলোয়ার হোসেন (২৭)। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে জাটকা নিধনের অপরাধে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১১ জেলেকে আটক করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। এদের মধ্যে সাতজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও চারজনকে আট হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দুলাল চন্দ্র বর্মন (৩০), রাধেশ্যাম বর্মন (৬০), জয়রাম বর্মন (৫০), সুধী বর্মন (২৫), সাদেক আলী (২৭), বলব (৩০) ও শংকর (৩৫)। এদের প্রত্যেকে বুধবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়ে হয়েছে।ইকরাম চৌধুরী/এআরএ/এবিএস