জাতীয়

মোহাম্মদপুরে দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জেল-জরিমানা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল’ এবং ‘মোহাম্মদপুর জেনারেল হাসপাতালকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও একজনকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। ড্রাগ ল্যাইসেন্স ব্যতীত ফার্মেসী ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি, ম্যানেজার নিজেকে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লেখা, রান্নাঘরকে অটোক্লাব রুম হিসেবে ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এ শাস্তি দেয় আদালত। বুধবার দুপুর আড়াই থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পযর্ন্ত র‌্যাব-২ এর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন হুমায়ুন রোড এলাকায় ‘ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল’ ও ‘মোহাম্মদপুর জেনারেল হাসপাতাল’ এ অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুর রব এবং ঔষধ প্রসাশনের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। র‌্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. মো. দিদারুল আলম জানান, অভিযানকালে দেখা যায় লাইসেন্স ব্যতীত হাসপাতাল পরিচালনা করা; মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট; ড্রাগ ল্যাইসেন্স ব্যতীত ফার্মেসী পরিচালনা করা হচ্ছে। ম্যানেজার নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। রান্নাঘরকে অটোক্লাব রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওটি রুম অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করা; বেড অনুযায়ী ডাক্তার ও নার্স না থাকা; অনুমতির অতিরিক্ত বেড পরিচালনা করা; গাইনী রোগী ভর্তি থাকলেও কোন মহিলা ডাক্তার উপস্থিত নেই। ছয়জন গুরুতর অপারেশন করা রোগী থাকলেও তাদের পরিচর্যার জন্য কোন ডাক্তার ও নার্স দেখা যায়নি। এসব কারণে এই ঢাকা জেনারেল হাসপাতালের ৪ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন মো. আশরাফুল আলম (৩৮), মো. হুমায়ুন বাশার (২৩), মো. আতিকুর রহমান (২৩) ও সুমাইয়া আক্তার (২১)। আটককৃতদের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনসহ বিভিন্ন আইনে ঢাকা জেনারেল হাসপাতারের ৪ জনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত। অন্যদিকে মোহাম্মদপুর জেনারেল হাসপাতালের মালিক মো. আব্দুল মোতালেবকে (৩০) ১ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।জেইউ/জেএইচ/এবিএস