তথ্যপ্রযুক্তি

২০২১ সালে ডব্লিউসিআইটি সম্মেলন বাংলাদেশে

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি-২০২১ (ডব্লিউসিআইটি) আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মনোনীত হয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত সাত বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতিসমূহ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।  পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন এক সময় এই বড় ইভেন্ট আয়োজনের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে, যে সময়টি বর্তমান সরকারে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের বছর। ২০২১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক এই আয়োজনের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) পরিচালনা পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকদের ভোটে বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং ২০২১ সালে ডব্লিউসিআইটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে স্বাগতিক দেশ হিসেবে মনোনীত করা হয়। বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল অস্ট্রেলিয়া। মোট ২৭ জন পরিচালক ভোটে অংশ নেন। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যালায়েন্স (ডব্লিউআইএসটিএ) মহাসচিব ড. জেমস এইচ পয়সান্ট, অস্ট্রেলিয়ান ইনফরমেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রব ফিজফ্রাট্রিক, ন্যাসকমের সভাপতি আর চন্দ্রশেখরসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে তথ্য ও যোগাযাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ দীর্ঘদিন থেকেই ডব্লিউসিআইটি-২০২১ বাংলাদেশে আয়োজনের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটে সজীব ওয়াজেদ উইটসার সভাপতি সান্টিয়াগো গুটিয়ারেজের বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন এবং ডব্লিউসিআইটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান। ২০১৪ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর মেস্কিকোয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘গ্লোবাল আইসিটি অ্যাক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৪’ গ্রহণের অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে ডব্লিউসিআইটি বাংলাদেশে আয়োজনের ব্যাপারে প্রস্তাব করেন।কাকতালীয়ভাবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ে বৈঠককালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি’২০১৬ -এ যোগদানরত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের কমপোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ এক ই-মেইল বার্তায় ২০২১ সালে ডব্লিউসিআইটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যালায়েন্সের বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এ সংবাদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ এবং বড় অর্জন। ডব্লিসিআইটি’র মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বহির্বিশ্বে ব্রান্ডিং করার সুযোগ তৈরি হলো। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার সুপরামর্শ ও নির্দেশনা ডব্লিউসিআইটি-২০২১ আয়োজনে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যালায়েন্সের বিশেষজ্ঞ কমিটি-২০২০ সাল পর্যন্ত ডব্লিউসিআইটি অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন দেশকে আগেই নির্বাচন করে রেখেছে। ২০১৬ সালে ডব্লিউসিআইটি অনুষ্ঠানের স্বাগতিক দেশ ব্রাজিল, ২০১৮ সালে ভারত এবং ২০২০ সালের জন্য মালয়েশিয়া। ২০২১ সালে ডব্লিউসিআইটি অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল।          তথ্য প্রযুক্তির ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের উদ্যোক্তা দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যেটি বিশ্বজুড়ে তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট শিল্প নিয়ে কাজ করে।একে/এবিএস