দেশজুড়ে

হাতিয়ায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি : নিহত ৪

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বয়াচরের চেয়ারম্যানঘাটে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ৪ ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুই ডাকাত ও তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ডাকাত  ও পুলিশ সদস্যদের নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  নিহত ডাকাতরা হলেন- জয়পুরহাটের আবু বকর ছিদ্দিক, গাইবান্ধার সাইফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকবর আলী ও লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবদুল করিম। আর আহতরা হলেণ- পীরগঞ্জের আশিকুর রহমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুমন। সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি সার্কেল নব জোতি খিসা চাকমা নিহত ও আহতের পরিচয় নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার সময় স্থানীয় জনতা ৬ ডাকাতকে বিভিন্ন অস্ত্রসহ আটক করে চেয়ারম্যানঘাটের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোস পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে। আটক ডাকাতদের স্বীকারোক্তি অনুসারে পুলিশ আরও অস্ত্র উদ্ধারে বের হলে ডাকাতরা তাদের হাতের বাঁধন খুলে ফাঁড়িতে রাখা ডাকাতদের অস্ত্রগুলো দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশের আত্মচিৎকারে স্থানীয় শত শত এলাকাবাসী বিভিন্ন ধরেনর দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঠা নিয়ে ডাকাতদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে চার ডাকাতের মৃত্যু হয়। এ সময় ডাকাতদের হামলায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও কামরুল হাসান এবং পার্শ্ববর্তী নলেরচেরর মোর্শেদ বাজার পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য ফজুলর রহমান আহত হয়। আহতদের মধ্যে দু`জনকে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজনকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে নিহত ও আহতদের পরিচয়ের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্টদের স্ব স্ব থানা পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহত প্রত্যেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের বলে এসেছে তারা আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের জন্য বাইরে যাচ্ছে। নিহতদের স্বজনরা এ ঘটনা জানার পর অনেকেই মরদেহ নেয়ার জন্য নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।মিজানুর রহমান/আরএস/এসএস/এমএস