অবশেষে জোগাড় হলো ইলমার টনসিল অপারেশনের টাকা। অসুস্থ ইলমাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন ইতালি প্রবাসী জনি মিয়া, মালয়েশিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেন, পর্তুগাল প্রবাসী শহিদুজ্জামান সুমন, বীথি মিনি বাজারের মালিক সোহেল খানসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লন্ডন প্রবাসী ও মাদারীপুরের একজন সমাজসেবক।
তারা ৩০ হাজার টাকা জাগো নিউজের মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধির কাছে দেন। সেই টাকা বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার জাগো নিউজের মাদারীপুরের অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে অসুস্থ ইলমার মা পরশমণির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ কল্যাণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. এসকান্দার আলী মাতুব্বর, সাংবাদিক আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মৈত্রি মিডিয়া সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এসএম আরাফাত হাসান, দুরন্ত মাদারীপুরের রাকিব হাসান বকুল, নকশি কাঁথার সদস্য কেএম জুবায়ের জাহিদ, শামিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ইউএনওর সহায়তায় ঢাবিতে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে রাজিয়ার
অপারেশনের জন্য ৩০ হাজার টাকা পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে অসুস্থ ইলমার মা পরশমণি বলেন, দুই বছর ধরে ৩০ হাজার টাকার জন্য মেয়ের অপারেশন করাতে পারিনি। গলায় টনসিল অনেক বড় হয়ে গেছে। ঠিকমতো খেতেও পারছে না। এমনকি প্রায় দেড় মাস ধরে পড়াশুনাও বন্ধ। এই টাকা দিয়ে আমার মেয়ের অপারেশন করানো সম্ভব হবে। আমার মেয়ের কষ্ট কমবে। আবার সে মাদরাসায় যেতে পারবে, আবার সে ঠিকমতো খেতে পারবে।
এর আগে ৬ জুন জাগো নিউজে ‘৩০ হাজার টাকার জন্য দু’বছর আটকে আছে ইলমার টনসিল অপারেশন’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয়। সেই সংবাদ দেখেই কয়েকজন প্রবাসীসহ মাদারীপুরের এক সমাজসেবক ইলমার পাশে দাঁড়ান।
উল্লেখ্য, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার মৃত কাওছার হোসেন ও পরশমণির মেয়ে ইলমা আক্তার। একই সঙ্গে মাদারীপুর সদর উপজেলার তালতলা মঠখোলা এলাকার খানবাড়ি মহিলা মাদরাসায় মাওলানা বিভাগের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। মা অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশুনা করাচ্ছেন। ক্লাসে তার রোল নম্বর ১। কিন্তু টনসিলের ব্যথায় এক মাস ধরে মাদরাসায় যেতে পারছে না ইলমা। ডাক্তার দুই বছর আগে অপারেশন করাতে বললেও এখন পর্যন্ত টাকা যোগাড় করতে পারেনি তার পরিবার। তাই ইলমার অপারেশনও হয়নি।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেএস/এমএস