রাজশাহী নগরীর হাজী মুহাম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রি-পেইড মিটারে টাকা রিচার্জ না করায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে আছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে এ বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলে বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীরা গরমের মধ্যে ক্লাস করে। শিক্ষকরাও গরমের মধ্যে বাধ্য হয়ে ক্লাস নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমদের ছেলেদের ভর্তির সময় টাকা তো ঠিকই নেওয়া হয়। অথচ স্কুলের প্রি-প্রেইড মিটারে টাকা থাকে না অনেক সময়। শুধু আজকে না এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। যদি প্রি-প্রেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করা নিয়ে ঝামেলা হয় তাহলে প্রি-প্রেইড মিটার লাগানোর কী দরকার ছিল? গরমে যদি আমাদের সন্তানরা অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভার কে নেবে?
এ বিষয়ে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাক হাবিবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্কুলটির সিনিয়র শিক্ষক মো. মামুন উর রহমান বলেন, এটা সরকারি স্কুল। পানি-বিদ্যুতের যাবতীয় বিল ট্রেজারি শাখার মাধ্যমে দেওয়া হয়। আমাদের আগে এনালগ মিটার ছিল। বিলের কাগজ দিয়ে গেলে আমরা ট্রেজারি শাখায় জমা দিতাম। তখন ট্রেজারি নেসকোর নামে চেক দিতো, তারা সেই চেক ক্যাশ করে নিতেন। কিন্তু নেসকো এক প্রকার জোর করে আমাদের ডিজিটাল মিটার দিয়ে গেছে। এই মিটারে আমাদের টাকা আগে রিচার্জ করতে হয়। রিচার্জ করার পর সেই ভাউচার ট্রেজারি শাখায় দিলে তারা নেসকোর নামে চেক দেয়। কিন্তু নেসকো কর্তৃপক্ষ তো সেই চেক ভাঙিয়ে আমাদের টাকা ক্যাশ করে দিয়ে যায় না। এরইমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো আমাদের প্রধান শিক্ষকসহ আমরা শিক্ষকরা রিচার্জ করেছি। কিন্তু এখনো সেই টাকা পাইনি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিদর্শক মো. আসমত আলী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের উপ-পরিচালক বরাবর একটি দরখাস্ত করলে এ বিষয়টি সমাধান হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস বলেন, আমি মিটিংয়ের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি। তারপরও আমি আগামীকাল রাজশাহী যাবো। তখন বিষয়টি দেখবো।
সাখাওয়াত হোসেন/এমআরআর