আইন-আদালত

সাব্বির হত্যায় ঘুষ : তারেক রহমানের আবেদন খারিজ

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে তারেক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে তারেক রহমানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি চলতে বাধা নেই।বুধবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্টের বেঞ্চ এই রায় দেয়।এ আবেদনের তারেক রহমানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ও রাগিফ রউফ চৌধুরী শুনানি করেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে তারেক রহমান আপিল করবেন বলে জানান তার আইনজীবী । বিষয়টি তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো কিনা সিদ্ধান্ত নিব। আশা করি আমরা উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাব। তিনি বলেন, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এফআইআরে তার নাম ছিলো না। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের আবেদনের ওপর রায় ঘোষণার জন্য ১৬ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) দায়ের করা এ মামলাটি বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ছাড়া অন্য তিনজন আবেদনকারী হলেন- সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল।২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন; যাতে তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল ওই আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। সে সময় জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।  এরপর মামলা দায়ের ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারেক রহমানসহ চারজন। প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট  ওই বছরই রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। ওই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয় চলতি বছর। রাগিফ রউফ চৌধুরী বলেন, মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ছিল না। পরে তারা তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগও সঠিক নয়। এফএইচ/জেএইচ/এমএস