বিশেষ প্রতিবেদন

ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ঠাঁই হবে না : প্রিন্স

মোতাহার হোসেন প্রিন্স। সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ৯ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতি পরিচিত মুখ। ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা এ নেতা গত বছরের ১৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আরো উজ্জীবিত এ নেতা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও হলের নতুন কমিটি গঠন ছাড়াই ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি জাগো নিউজের মুখোমুখী হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মানিক মোহাম্মদ।জাগো নিউজ : দেশসেরা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন, আপনার অনুভূতি কি, সাধারণ সম্পাদকের পদ কেমন উপভোগ করছেন?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : ছোটবেলা থেকে নীতি আদর্শের যে জায়গাটা আমি লালন করেছি সেটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ। সেই আদর্শেই নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। এখানে প্রথমে হল রাজনীতি করেছি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। এ দায়িত্বকে আমি সুমহান ও কর্তব্যপূর্ণ দায়িত্ব বলে মনে করি। উপভোগ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।জাগো নিউজ : প্রায় নয় মাস ধরে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এমনকি হল কমিটিগুলোও হয়নি, আপনারা দায়িত্ব পাওয়ার পর আগের কমিটি নিয়ে কাজ করছেন, কিভাবে সমন্বয় করছেন?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : এখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে। ঢাবি ক্যাম্পাস বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধারণ করে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাবিকে লালন করে। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে রাজনৈতিক কোনো মতপার্থক্য নেই। আমরা হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ রেখে জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে ছাত্রসমাজকে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ণের মাধ্যমে সম্পৃক্ত রেখে একটা পরিচ্ছন্ন ছাত্রসমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ফলে আমাদের নিজেদের মাঝে সমন্বয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।জাগো নিউজ : ছাত্র সংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে, আপনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কোনো কাজ করতে পেরেছেন কি?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : অবশ্যই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকে সংগঠনের পূর্বসুরিরা যেমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, তেমন আমরাও চেষ্টা করছি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশে থেকে তাদের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে। এ লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন করেছি। কমিটি ঘোষণার পর আমরা ১৯ দফা ঘোষণা করেছি। উপাচার্যের হাতে ১৯ দফা তুলে দিয়েছি। ১৯ দফার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট খাদ্য সমস্যা যাতায়াতের সমস্যা, উন্নত আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন শিক্ষা উপকরণ যোগাড়ের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা ওয়াদা করেছি। এ ওয়াদার অংশ হিসেবে আমরা জিয়াউর রহমান হল এবং বঙ্গবন্ধু হলে ইতোমধ্যেই মোবাইল কোম্পানি রবি থেকে উন্নত মানের ওয়াইফাই সংযোগের ব্যবস্থা করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ব্যানার ফেস্টুনসহ অভদ্রসূলভ প্রচারণা সংবলিত প্রচারণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। সেই সঙ্গে ঢাবির প্রতিটি আবাসিক হলের ক্যান্টিনে যাতে কেউ দুর্নীতির মাধ্যমে ফ্রি খেতে না পারে, প্রতিটি ক্যান্টিনে ভাল খাবারের ব্যবস্থা হয় সেক্ষেত্রে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।তিনি আরো বলেন, ঢাবির প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনাবাসিক, তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করতে তাদের দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ঢাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদের সময়ের মূল্য অনেক বেশি। তাদের ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্নপ্রান্তে যাতায়াতে অনেক সময় লেগে যায়। ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল চালুর জন্য ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে। সে লক্ষ নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া কিছুদিন আগে শিক্ষকদের দাবি আদায় নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে সে আন্দোলনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে আলোচনার টেবিলে বসতে সহযোগিতা করেছি।জাগো নিউজ : ক্যাম্পাসের বুক চিড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের বিষয়ে শুরুর দিকে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে তো বিরোধীতা করতে দেখা গেছে। তখন পরিবেশগত সমস্যার কথা বলে বিরোধীতা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আপনাদের চাপের মুখে বিরোধী অবস্থান থেকে তারা সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আপনি জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাবির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাবির প্রতি তার রয়েছে গভীর মমত্ববোধ। এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে তিনি সবসময় আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ ক্যাম্পাস নিয়ে তার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তথা শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কয়েকটি হল নির্মাণ, শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। ঢাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কথা বিবেচনা করে তিনি মেট্রোরেল ঢাবি ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ মেট্রোরেল চালু হলে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্যাম্পাসে আসতে দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করছেন সেখানে মাত্র ১৫ মিনিটে তারা ঢাবিতে আসতে পারবে। ফলে সময় বেঁচে যাবে। যার মাধ্যমে বেঁচে যাওয়া সময়টা গবেষণার কাছে লাগিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।জাগো নিউজ : ডাকসু দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর। আপনাদের মত চাওয়া হলে আপনারা বলছেন ‘আমরা নির্বাচনের পক্ষে, আমরাও ডাকসু নির্বাচন চাই’ গতানুগতিক বক্তব্য দেন। সত্যিকারার্থে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে কি কাজ করেছেন?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : ডাকসু নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আসতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। আমরা তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন অচিরেই ডাকসু নির্বাচন দেয়া হয়। নির্বাচন দিলে আমি নিজেই প্রার্থী হতে পারতাম। কারণ আমি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের মাস্টার্সের নিয়মিত ছাত্র। আজ হয়তো ডাকসু নেই। ডাকসুর আদলেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনীতি করে যাচ্ছে। আমরা সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এমনকি ছাত্ররা সমস্যার মুখোমুখি হলে সমাধানের জন্য ছুটে যাচ্ছি।জাগো নিউজ : আপনাদের বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে ঢাবি শাখা ও এর হলগুলোর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ঢাবিতে অনুপস্থিত থাকা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে আসবে বলে শোনা যাচ্ছে,  কিভাবে তাদেরকে স্বাগত জানাবেন?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : ছাত্রদলের যেসব ছাত্র বন্ধুরা রয়েছেন তাদের মধ্যে যারা নিয়মিত ছাত্র তারা হলে অবস্থান করছেন। কিন্তু ছাত্রদলের যেসব ভাইদের ছাত্রত্ব নেই তারা কিভাবে ক্যাম্পাসে আসবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিয়মিত ছাত্রদের জন্য। যারা নিয়মিত ছাত্র তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অছাত্ররা ক্যাম্পাসে এসে ভর করলে নিয়মিত ছাত্ররা কোথায় যাবে। যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা অন্য সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হোক। এভাবে ছাত্র আর অছাত্রের মেলবন্ধন যদি ক্যাম্পাস হয় তাহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি পারে।জাগো নিউজ : কিন্তু ছাত্রদল বলছে, ছাত্রলীগের কমিটিতে অনেক নেতা রয়েছেন যাদের ছাত্রত্ব নেই। অথচ ক্যাম্পাসে বুক ফুলিয়ে রাজনীতি করছেন?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্টের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি নিয়মিত ক্লাশ করে থাকেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে এমফিল করছেন। ঢাবি শাখার সভাপতি ইভেনিং এমবিএ করছেন। আর আমি অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। নিয়মিত ক্লাশ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছি। শিক্ষাক্ষেত্রে সত্যতা যাচাই করতে চাইলে করতে পারেন। কিভাবে ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি।জাগো নিউজ : তাহলে আপনি কি বলছেন ছাত্রদল ক্যাম্পাসে এসে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : যে ছাত্র সংগঠনই হোক না কেন তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে, আনুগত্য প্রকাশ করে তাহলে সকল সংগঠনই ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে পারবে। ঢাবিতে মৌলবাদী ও ধর্মভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ আছে। সেই সঙ্গে এই ঢাবি হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনা উন্মেষের জায়গা। ঢাবি থেকেই স্বাধীনতার আন্দোলন তরান্বিত হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদল নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পরও তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের সংখ্যা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে তার দল বিএনপি সত্যিকারার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কখনো বিশ্বাসী ছিল না। বরং তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলণ্ঠিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংশ করে তিনি এ দেশকে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারার একটি রাষ্ট্রকাঠামো গঠনের জন্য অবিরত চেষ্টায় নিয়োজিত আছেন।তাই আমরা বলবো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সত্যিকারার্থে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা কখনো বিশ্বাস করে না। ছাত্রদল বিএনপির অন্যতম অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে একটি। আজকে যদি তারা মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি দুর্বলতা পোষণ করতো তারা তাদের নেত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতো। আজকে যারা এই মুক্তিযুদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে ১৪ ডিসেম্বরের সেই মহান বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে আমরা কখনো সে সমস্ত স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান দিবো না। রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো পক্ষকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান দেবো না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো জায়গা না।জাগো নিউজ : রাজনীতির ময়দানে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিজেকে কােথায় দেখতে চান?মোতাহার হোসেন প্রিন্স : ছোটবেলায় বাবার মুখে জাতির পিতার মহানুভবতার কথা শুনেছি। সে সময় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনেক বই পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র দেখেছি। ছোটবেলায় আমার মনে দেশমাতৃকার এক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। যে উন্মেষের মাধ্যমে আমি ২০০৪ সালে গ্রামের স্কুলে ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। পরবর্তীতে কলেজে ভর্তি হয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। আমি ঢাবিতে ভর্তির পর জিয়া হল ছাত্রলীগের সদস্য হয়েছিলাম। পরবর্তীতে হলের সাধারণ সম্পাদক হই। আজকে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণের মাধ্যমে তিনি যেভাবে দেশ মা মাটি ও মানুষের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, আজকে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে আমি শক্তিশালী করতে চাই। আমার রাজনীতিতে অভিষ্ঠ কোনো উদ্দেশ্য নাই। রাজনীতিতে আমার উদ্দেশ্য দলের জন্য কাজ করে যাবো। দল যদি আমাকে মূল্যায়ন করে সে জায়গা থেকে আমি আমার যথাযথ কাজ সমাপ্ত করবো। কিন্তু রাজনীতিতে আমার অভিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। একটাই লক্ষ্য তা হলো জাতির পিতার সফল স্বপ্ন বাস্তবায়ন।এমএম/একে/এমএস