যথা সময়েই উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া সিরাজদিখানের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ২টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো নির্বাচন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় প্রতীকের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকেই ভোট কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। শুধু তাই নয়, উপজেলা নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ প্রতাপের সাথে ভোট করলে সরব উপস্থিতি মেলেনি বিএনপি প্রার্থীদের। তবে এবার প্রথম পর্বের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকালেই দেখা যায় বিএনপি প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের।এলাকাবাসী বলছেন হার জিত যাই হোক না কেন, দ্বন্দ্ব কিংবা সংঘাতে জড়িয়ে নিজেদের সম্পর্কের অবণতি চান না তারা। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় আজ (মঙ্গলবার) মোট ১৪টি ইউপির মধ্যে ১০টি ইউপির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।ইউনিয়নগুলো হচ্ছে: বালুচর, বাসাইল, বয়রাগাদি, ইছাপুরা, জৈনসার, কোলা, লতুব্দি, মধ্যপাড়া, মালখানগর ও রশুনীয়া।এরমধ্যে বাসাইল, ইছাপুরা, লতুব্দি, রশুনীয়া ইউনিয়ন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের চিত্র। যদিও সকালেই রশুনীয়া ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল খালেক শিকদার বিপক্ষ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর লোকদের হাতের মারধরের শিকার হন। এবং তিনি ধীর গতিতে ভোট গ্রহণের অভিযোগও তুলেন।সকাল সোয়া ৮টায় বাসাইল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চরবিশ্বনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষ আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট প্রদান করেন।জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৬৩ জন এবং ভোটার সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ জন।অবশিষ্ট চারটি ইউনিয়ন চিত্রকোট, শেখরনগর, কেয়াইন, রাজানগরে আগামী ৪ জুন ভোট গ্রহণ হবে। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত জেলার ৬৭ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।মঙ্গলবার পৌনে ১০টায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার বাসাইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ঘোরামারা ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থিতরা সবাই ভোট দিচ্ছেন।শামসুল আলম নামে এক বয়োজেষ্ঠ্য ভোটার জানান, ভোটার হওয়া পর থেকে তিনি দেখে আসছেন বাসাইল ইউনিয়নে ভোট নিয়ে কখনো সংঘাতে জড়ায়নি এলাকাবাসী। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সে শঙ্কা একটু দেখা দিয়েছিল।এছাড়া বাকি ৬টি ইউনিয়নেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ।জেইউ/এমএম/এসকেডি/এমএস