শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীতে নিখোঁজের একদিন পর ছেলে সাহাবীরের (৭) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন মা সালমা বেগম।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জপসা খেয়াঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার লোকমান ছৈয়ালের মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে আজবাহার মাদবরের। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক থাকলেও শাশুড়ি মিলি বেগম, ননদ কলি আক্তার এবং কমলা আক্তারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সালমার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: ‘বাচ্চা দুটি ডায়াপার পরে থাকায় বেঁচে গেছে’
শনিবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সালমার বাগবিতণ্ডা হয়। ক্ষোভে রোববার সকালে তিন সন্তান সাহাবীর, আনিকা ও সলেমানকে নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। নদী থেকে আনিকা ও সলেমানকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান মালামাল খালাসে কাজ করা শ্রমিকরা।
খবর পেয়ে নিখোঁজ সালমা বেগম ও তার ছেলে সাহাবীরকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরি দল। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা নদীর তলদেশে খোঁজ করে তাদের সন্ধান মেলেনি। রাত হয়ে যাওয়ায় প্রথম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখেন তারা।
সোমবার সকালে বড় ছেলে সাহাবীরের মরদেহ জপসা খেয়াঘাটের পাশে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: তিন সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব জাগো নিউজকে বলেন, সকালে ছেলে সাহাবীরের মরদেহ উদ্ধারের সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মা সালমা বেগম নিখোঁজ আছেন। তাকে উদ্ধারের কাজ চলমান আছে।
বিধান মজুমদার অনি/এসজে/জেআইএম