দেশজুড়ে

জামালপুরে ৩ ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর, থানায় অভিযোগ

রোগী মৃত্যুর ঘটনায় জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তিন ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে সকাল থেকে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এর আগে, ভোরে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিন ইন্টার্ন চিকিৎসক হচ্ছেন ডা. মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা. ফাহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা. তুষার আহমেদ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর এলাকা থেকে গুল মাহমুদ নামের এক মুমূর্ষু রোগীকে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রোগীকে যখন মেডিসিন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়, তখন ডা. মো. আতিকুজ্জামান দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মঞ্জুরুল হাসান জীবন ও ডা. ফাহমিদুল ইসলাম ফাহাদকে সঙ্গে নিয়ে নারী ওয়ার্ডে অন্য রোগী দেখছিলেন। পরে ওই রোগীর খবর পেয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পুরুষ ওয়ার্ডে এসে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীর স্বজনেরা ইন্টার্ন চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান ও ফাহমিদুল ইসলামের ওপর হামলা করেন। এসময় দ্বিতীয় তলা থেকে আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক তুষার আহমেদ এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। অথচ রোগীকে দেখার সুযোগ না দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। এমনকি হাসপাতালের কম্পিউটারসহ অনেক আসবাপত্র ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এনআইবি/এমএস