ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ ও কলকাতার উত্তর কেন্দ্রগুলোতে। ভোটের শেষ লগ্নে তাই জোর কদমে প্রচারণা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।
চলতি নির্বাচনে গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নিজের শেষ জনসভা করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরদিনই ধ্যানে বসেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর ঐতিহাসিক স্থানে। ১ জুন সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে তিরুঅনন্তমের ভগবতী আম্মান মন্দিরে পূজা দিয়ে ধ্যান শুরু করেছেন এ বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন>>
শেষ দফার নির্বাচনের আগে ধ্যানে মোদী মোদীর অভিযোগ/ সরকার টাকা পাঠায়, তৃণমূল খেয়ে ফেলে গরমের মধ্যেও ছুটে বেড়াচ্ছেন মোদী, রোজ করছেন ৪ জনসভাজানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি ধ্যান শুরু করেছেন। পরবর্তী ৪৫ ঘণ্টা ধ্যানেই থাকবেন মোদী। এই সময়জুড়ে কেবল তরল খাবার খাবেন তিনি। শেষ দফা ভোটের আগে মোদীর এই ধ্যানে বসা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
নির্বাচনী প্রচারণা সেরে মোদী যখন ধ্যানে বসছেন, তখন কলকাতার রাজপথে প্রায় ১২ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ব্যানার্জী। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মোদীর ধ্যানে বসা নিয়ে কটাক্ষও করেন তিনি।
মোদীর নাম উল্লেখ না করে মমতা বলেন, প্রতিবারই ভোটের আগে কোথাও না কোথাও গিয়ে বসে পড়ে, আর ৪৮ ঘণ্টা পাবলিসিটি খায়। ৪৮ ঘণ্টা সব পাবলিসিটি বন্ধ। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরশু বিকেল ৬টা পর্যন্ত। আপনি ধ্যান করবেন... করুন, কেউ তো বারণ করেনি। কিন্তু ক্যামেরার সামনে কেন?
আরও পড়ুন>>
মোদীর গ্যারান্টি ‘ফোর টোয়েন্টি’: মমতা মঞ্চে জুতা ছিঁড়লো মমতার, সেফটিপিন লাগিয়ে পা মেলালেন নাচে নিজের নাচের প্যারোডি ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে খোঁচা দিলেন মোদীতৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবো। তিনি (মোদী) ধ্যান করতেই পারেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যম তা দেখাতে পারে না। কারণ, তা নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করে।
মমতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি এবং বহরমপুরের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীও মোদীর ধ্যানে বসাকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ভোট আর ভগবান মোদীর কাছে সমান। তিনি ধ্যান করেন না কি ভান করেন, কেউ জানে না।
অধীর আরও বলেন, রাম মন্দিরে তিনি একাই পুরোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। মানুষ মেনে নেয়নি। ২০১৯ সালে কেদারনাথের গুহায় ধ্যানের ভান করেছিলেন। তিনি আবার ধ্যানে বসছেন। এটি ধ্যান না, ভণ্ডামি। বিজেপি নেতারা নরেন্দ্র মোদীকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম সংসদে।
তবে মোদীর ধ্যানে বসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে চাওয়াকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি।দলটির নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েই কন্যাকুমারী গেন। সেখানে ধ্যান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কাজে যদি কারও আপত্তি থাকে, তবে অভিযোগ জানাতেই পারে।
ডিডি/কেএএ/