জনগণকে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে


প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, যে কোনো সময় যে কোনো তথ্য পাওয়া জনগণের মৌলিক অধিকার। আর জনগণের এই মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। জনগণকে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সৈয়দ মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র বিভাগ আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার আইন কি এবং কেন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

উপাচার্য বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই আমাদের দেশে গোপনীয়তার একটা অপসংস্কৃতি চালু রয়েছে। কিন্তু তথ্য অধিকার আইন প্রবর্তনের মধ্যে দিয়ে আমাদের সেই অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এজন্য জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, শুধুমাত্র আইন থাকলেই চলবে না, আইনের প্রয়োগিক দিকের চর্চা করতে হবে। তথ্য অধিকার প্রাপ্তিকে আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। এই আইনের ব্যবহারের ফলে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জনগণের কাছে আরো স্পষ্ট হবে। এর মাধ্যমে সরকারর প্রশাসনিক কার্যক্রম আরো বেশি গতিশীল এবং স্বচ্ছ হবে।

তথ্য অধিকার আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ড. গোলাম রহমান আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কোনো ধারা যদি অন্য কোনো আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হয় সেক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের ধারাটিই কার্যকর হবে। তবে এই আইনের যথাযথ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা নির্ভর করছে তরুণ সমাজের উপর। তরুণ সমাজ যদি জনগণকে এই আইন সম্পর্কে ধারণা দেয় তাহলে আমাদের পক্ষে যেকোন তথ্যই জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া সহজ হবে।

আলোচনায় সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের পরিচালক রাজা চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এজে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া।

এমএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।