হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করলো বশেফমুবিপ্রবি গবেষক দল
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষায় ব্যবহারের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) একদল গবেষক। প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত এসব স্যানিটাইজার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয়দের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক ড. মাহমুদুল হাছান ও রফিকুল বারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরিতে নিজস্ব অর্থায়নে এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হয়।
শনিবার (২৮ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজনের মাঝে প্রস্তুতকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৩ মার্চ প্রথম দফায় মালঞ্চের স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক ড. মাহমুদুল হাছান। এ দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বশেফমুবিপ্রবির ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান অনিক, তুষার কুমার সিংহ রায়, সৈয়দা মার্জিয়া ইসলাম তৃপ্তি, বিল্লাল হোসেন, দিদারুল ইসলাম (অভি) এবং শর্মিলা দে।
গবেষক দলের প্রধান ড. মাহমুদুল হাছান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের পরামর্শে আমরা প্রাথমিকভাবে এটা স্বল্প পরিসরে করেছি।
‘করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ তাই শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে নেই। তাই আপাতত কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে এসব স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে’।
এ বিষয়ে বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বারবার হাত-ধোয়া জরুরি। এ অবস্থায় ফিশারিজ বিভাগের গবেষক দলটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবার পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে।
‘এ অবস্থায় আমাদের সবার উচিত নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করা। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। আসুন করোনা প্রতিরোধে ঘরে থাকুন, নিজে সুরক্ষিত থাকুন এবং অন্যজনকেও নিরাপদে রাখুন,’ যোগ করেন মাননীয় উপাচার্য।
এমআরএম