অনলাইন পরীক্ষায় যাচ্ছে না সাত কলেজ
করোনা পরিস্থিতিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেশনজট কমাতে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থগিতও হয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। স্থগিত রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষাও।
স্থগিত ও নতুন করে শুরুর প্রস্তাবনায় থাকা পরীক্ষাগুলো চলতি মাসে শুরুর আভাস দিয়েছিলেন সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা শুরু হবে কি-না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে অনেক জটিলতা আছে উল্লেখ করে এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন সাত কলেজের কয়েকজন অধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সাত কলেজের কয়েকজন অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই মুহূর্তে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয় বলে জানান তারা। আর এতে জটিলতাও বেশি। সেই সঙ্গে নেই প্রস্তুতি। অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দীর্ঘ সময় লাগবে। আর এই সময়ের মধ্যে সশরীরেই পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব বলেও মনে করছেন তারা।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, ‘আমরা চেয়েছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে নিতে।কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এটা আমাদের জন্য আবারও কঠিন হয়ে গেল। আর পরীক্ষার ব্যাপারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। সাত কলেজের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার রয়েছে।’
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহসীন কবীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা অনলাইনে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার জন্য যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম, সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর আমাদের তো একক সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। আর অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে ক্ষেত্রে কিন্তু বড় ধরনের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার রয়েছে, যা সাত কলেজ প্রশাসনের নেই এবং সেটাও এখন সময়সাপেক্ষ।’
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘আগে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেটা এখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আবারও বসে সিদ্ধান্ত নেব। সম্ভাব্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবো, যাতে করে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারে। তাছাড়া আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কথাও ভাবছি না। কারণ আমাদের যে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী তাদের অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা এই সপ্তাহে বিষয়টা নিয়ে বসবো।’
নাহিদ হাসান/এমএসএইচ/জেআইএম