স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ৪৮ হাজার টিকা চায় চবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে এক ডোজ টিকাগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর এই টিকা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ৪৮ হাজার টিকার চাহিদার কথা জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি অনলাইন জরিপ থেকে জানা গেছে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে। বাকিদের টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে ৪৮ হাজার টিকার চাহিদা কথা জানানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি পত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। এসব টিকা প্রদান করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রও স্থাপন করা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শতভাগ শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। সরকারের কাছে ৪৮ হাজার টিকার চাহিদা পাঠানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলা ও ক্লাসে পাঠদান শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাদের আবাসিক হল খুলে দিতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার এক ডোজ নেওয়া হয়েছে এবং যাদের ক্যাম্পাসের মধ্যে সুযোগ আছে সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। সুরক্ষা অ্যাপে জন্ম নিবন্ধন নম্বর যুক্ত করে টিকার জন্য সেসব শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করতে পারবেন।
রোকনুজ্জামান/এফআরএম/এমএস