ববি ছাত্রকে লাঞ্ছনার অভিযোগ সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সহকারী প্রক্টর ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তোভোগী এবিএম মুশফিকুর রহমান ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এবিএম মুশফিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘একাডেমিক ভবনের চারতলা থেকে নিচতলা যাওয়ার পথে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামনে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমার দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় পেছন থেকে একজন ব্যক্তি আমাকে ডাক দেন। কিন্তু তখন আমি তা শুনতে পাইনি। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়া ওই ব্যক্তি অর্থাৎ সুপ্রভাত হালদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তা জানা ছিল না। এক পর্যায়ে আমি চলে যাওয়ার সময় সুপ্রভাত হালদার আমার সামনে এসে শার্টের কলার ধরে টানা হেঁচড়া শুরু করেন। তখনো আমি তার পরিচয় জানতে পারিনি। হঠাৎ এসে শার্টের কলার ধরার কারণ জানতে চাই। কিন্তু তিনি (সুপ্রভাত হালদার) কিছু না বলে আমার শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে তার কক্ষে নিয়ে যান। এরপর আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। অকথ্য ভাষায় তিনি গালাগাল করেন। তিনি আমার শিক্ষাজীবন ধ্বংস সহ ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন।’
মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘শার্টের কলার ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ ঘটনা দেখেছেন। এরমধ্যে থেকে তিনজনকে আমার লিখিত অভিযোগে সাক্ষী করা হয়েছে। সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদারের হুমকির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে আমি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। জানতে পেরেছি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ ঘটনার পর তিনি আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারে মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুনরায় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার কাছে কিছু জানতে চাইলে তাদেরকেই এর জবাব দিবো।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রক্টর খোরশেদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ শোনার পর ওই ছাত্রের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পাশাপাশি সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে ছাত্রের অভিযোগের সঙ্গে ঘটনার বিস্তর ফারাক পাওয়া গেছে। সুপ্রভাত হালদার আমাকে বলেছেন দুপুরে তিনি ক্লাস নেওয়ার সময় অন্য বিভাগের কয়েকজন ছাত্র বাইরে দাড়িয়ে হৈচৈ করছিলেন। এতে তার ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। এ কারণে বাইরে এসে ছাত্রদের নিষেধ করেন এবং মুশফিকুর রহমান নামে ওই ছাত্রকে তিনি (সুপ্রভাত হালদার) ডাক দেন। তবে সাড়া না দেওয়ায় ওই ছাত্রের কাছে গিয়ে শার্ট ধরেন। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বা ওই ছাত্র শিক্ষককে চিনতে না পারার কারণে ঘটেছে। বিষয়টি সমাধানের পথে এগোচ্ছে।
সাইফ আমীন/এসজে/জেআইএম