২২ দফা দাবিতে চবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২২

২২ দফা দাবিতে দুদিন ধরে ক্লাস বন্ধ রেখেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে দেখা করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, মূল ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অবস্থান। ইনস্টিটিউটে নেই বাস, নেই কোনো হল। ক্যাম্পাসে নেই ক্যান্টিন। বিশুদ্ধ পানির জন্য সব সময় চলে হাহাকার। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতনকে জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি।

ফলে ২ নভেম্বর থেকে ক্লাস বন্ধ রেখেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি না মানলে ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

২২ দফা দাবিতে চবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

তাদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, বেসিনের সুব্যবস্থা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইনসট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা ও ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মেহেদী আলম সজিব বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো বাস নেই। যাতায়াত করতে হয় স্টাফ বাসে। স্টাফদের সময় অনুসারে বাস চলে। সকাল ৭টায় আসে ও বিকেল ৩টায় যায়। আমাদের ক্লাস শুরু হয় ১০টায় এবং শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এতে করে সকালে সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি বিকেলে নিজ অর্থে যাতায়াত করতে হয়।

খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইনস্টিটিউট শহরে হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

২২ দফা দাবিতে চবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের দাবিগুলো আমরা শুনেছি। রুমের সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বাকি সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে।

তিনি আরও জানান, উপাচার্যকে তারা জানিয়েছেন মূল ক্যাম্পাসে ফেরত আসতে চান। উপাচার্য জানিয়েছেন এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করবো। এরপরও তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কারণ দেখছি না।

আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।