পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

‘পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, সুস্থ জীবন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে সামনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.সুলতান-উল-ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের প্যাকেট হাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। তারা মূলত পড়ে থাকা কাগজ ও খাবারের প্যাকেট তুলে নির্দিষ্ট ব্যাগে রাখছেন।

এসময় ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি চত্বর, ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন, টুকিটাকি চত্বর, কৃষি অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাদের।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ অভিযানের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এটা লোক দেখানো কোনো আয়োজন না। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। ক্ষণিকের জন্য না হয়ে সবসময়ের জন্য চালু রাখতে হবে এ অভিযান।

শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস আমাদের। আমরা ময়লাগুলো কোথাও না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলবো। প্রয়োজন হলে আমরা মাসব্যাপী এ কার্যক্রম চালু রাখবো। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। কম্পিউটারের কালি ও প্রিন্টারের কালি যদি কেউ ফেলে আমরা তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করবো। আমরা ক্যাম্পাসে ডাস্টবিন সংখ্যা বাড়িয়ে দিবো। তোমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।

ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা দোকানদারদের সতর্ক করে উপ-উপাচার্য বলেন, দোকানের আশেপাশে প্লাস্টিক, পলিথিনের ময়লা-আবর্জনা থাকলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবির বলেন, ধর্মেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব এ ক্যাম্পাসকে সুন্দর রাখা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার থাকলে আমরাও সুন্দর থাকবে। একই সঙ্গে সব শিক্ষার্থী ও হোটেল মালিকদের সচেতন করেন এ উপ-উপাচার্য।

পরিচ্ছন্ন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্টার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মনির হোসেন মাহিন/জেএস/এএসএম