জাবি’র সহকারী প্রক্টর জনির অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির অপসারণসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপন ও জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেছে।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘নিপীড়ক প্রশাসক নিপাত যাক, নিপীড়কের আস্তানা জাহাঙ্গীরনগরে হবে না, চরিত্রহীন জনিকে ক্যাম্পাস থেকে অপসারণ কর, নষ্ট প্রশাসক নিপাত যাক, শিক্ষা সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলে না, ভ্রূণ হত্যাকারী জনিকে বহিষ্কার কর’ প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করে জনি অনৈতিক সম্পর্ক ও যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। এধরনের নিপীড়নের জসিম উদ্দীন মানিকের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ঘৃণ্য অপকর্ম সম্ভব না। যার কারণেই এতোসব প্রমাণ থাকা স্বত্বেও জনিকে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে না।

সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রীতম বলেন, মাহমুদুর রহমান জনি ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই তিনি প্রথমে শিক্ষক এবং পরে সহকারী প্রক্টর হয়। আমরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে জনির শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ বলেন, জনি ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। শিক্ষক হওয়ার পরে তার নানা ধরনের অপকর্ম আলোচিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে জনি নোংরামির সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আর কোনো জসিমউদ্দিন মানিক দেখতে চাই না। জনিকে প্রশাসনিক সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনা হোক।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, একজন শিক্ষক নৈতিকতা শেখাবে সেখানে জনি শিক্ষার্থীদের অনৈতিকতায় ধাবিত করেছে। একই সঙ্গে চাকরির প্রলোভনে একাধিক ছাত্রীকে নিপীড়ন করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ক জসিমউদ্দিন মানিকের দ্বিতীয় উত্থান ঘটেছে জনির একাধিক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের জন্য এটা লজ্জার বিষয়। জনির এই ঘটনাকে অনেক প্রভাবশালী শিক্ষক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, সত্য কখনো চাপা থাকে না। জনি যে অনৈতিক কাজ করেছে এটা সবার কাছেই স্পষ্ট। দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে জনিকে অপসারণ করা হোক। কোনো অনৈতিক ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে চাই না। আমরা জাহাঙ্গীরনগরে আর কোনো মানিকের উত্থান চাই না।

মাহবুব সরদার/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।