বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

রাউটার নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছাত্রফ্রন্টের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়

রাউটারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ছাত্রফ্রন্টের সহ-সভাপতি পৃথ্বীরাজ দাশ এবং হল সংগঠক মাহিদুজ্জামান শোভন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পৃথ্বীরাজ দাশ। একই সঙ্গে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সকালে মিছিল করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।

পৃথ্বীরাজ দাশ লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আশরাফুল হক হলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তামিম মাহমুদ আকাশের নির্দেশে ডি ব্লকে সাধারণ ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওয়াইফাই রাউটার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীদের দিয়ে দখল করিয়ে নিজ রুমে লাগিয়ে নেন। সোমবার রাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে আমরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হই। এ সময় ছাত্রলীগের হল শাখার নেতা আকাশের নেতৃত্বে ইরফান আকবর, মামুনুর রশিদ ফাহিমসহ ২৫-৩০ জন দফায় দফায় আমাদের ওপর হামলা করে। আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট আশরাফুল হক হলের সংগঠক মাহিদুজ্জামান শোভনও আহত হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওইদিন সন্ধ্যায় হলের প্রভোস্টকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আকাশ, ইরফান ও ফাহিমসহ দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং হলগুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’

BAU-3.jpg

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা তামিম মাহমুদ আকাশ বলেন, ‘ওয়াইফাই রাউটার নিয়ে হলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমি ও হলের সিনিয়র ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি। তবে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।’

অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী ফাহিম ও ইরফান বলেন, ‘হলের জুনিয়রদের সঙ্গে পৃথ্বীরাজ খারাপ ব্যবহার করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগটি সত্য নয়। সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মহির উদ্দিন বলেন, হল প্রভোস্ট দুপক্ষের সঙ্গে বসে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেবেন।

আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি পরে জানানো হবে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই হলের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে ফোন দিলে কথা শেষ না করেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেটে দেন।

এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।