জাবিতে র্যাগের সূত্রপাত হলে সিট না পাওয়া থেকে
দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র্যাগের সূত্রপাত হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে হলে সিট না পাওয়া থেকে। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় হলের আসন সংখ্যার ভিত্তিতে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য উঠে আসে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
র্যাগ বন্ধে সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সহ-সভাপতি ইমরান নাদিম।
আবাসন সংকটের জন্য হলগুলোতে প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্ষমতাধর ছাত্রসংগঠনের বড় ভাইদের কাছে অলিখিত হলের ইজারা দিয়ে রাখার কারণে র্যাগের মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
র্যাগ বন্ধে যেসব দাবি তুলে ধরা হয় তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- নিপীড়নকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বা একাধিক টিম গঠন করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, রাতে নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দলীয়করণের ধারাকে পৃষ্টপোষকতা না দিয়ে র্যাগিং বন্ধের পথ তৈরি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পেটোয়া বহিনীর হাতে প্রশাসন হল তুলে দিয়েছে, যার ফলে র্যগিংয়ের মতো জঘন্য কাজ হচ্ছে। কারণ, তারা জানে র্যাগিং দিলে কোনো শাস্তি হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক এ এ মামুন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, সহাযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবেদা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাফিজুর রহমান/এনএফ/আরআইপি