বিদেশিদের একজন হামিদ কারজাই দরকার: ঢাবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য বিদেশিদের একজন হামিদ কারজাইকে দরকার, এজন্যই যাবতীয় ষড়যন্ত্র। দেশে যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, জণগণ যাতে ভোট দিতে এটিই প্রত্যাশা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ক্যাম্পেইন এ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম আয়োজিত 'গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন: প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে উপাচার্য বলেন, এখনকার চলমান আন্দোলন আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য নয়। এখনকার আন্দোলন হচ্ছে আরেকটি ওয়ান ইলেভেনের আন্দোলন। বিদেশি শক্তি মূলত চায় তাদের মদদপুষ্ট একজন হামিদ কারজাই এদেশে ক্ষমতায় বসুক। কারণ তারা চায় না এদেশে উন্নয়ন হোক তারা চায় না বাংলাদেশ একটি স্বাবলম্বী রাষ্ট্র হোক, বাংলাদেশে পদ্মাসেতু, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, মাতারবাড়ি ডিপ সি পোর্ট এবং মেট্রোরেল হোক।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল আরও বলেন, পাকিস্তানি ২৩ বছরের শাসনামলে একটিমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয়েছে যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, সে দলের নেতৃত্বেই সত্তরের নির্বাচন হয়েছিলো এবং নির্বাচন হতে বাধ্য করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের চরিত্র হলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদল করা। ১৯৭৩ সালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তা ছিল হ্যাঁ-না নির্বাচন এবং এটি করেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামীলীগ যেনো কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারেন, সেজন্য খন্দকার মোশতাক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সংবিধানে হত্যাকে বৈধতা দেয়।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি শক্তির তৎপরতার বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশি শক্তিগুলো আমাদের নির্ভরশীল করে রাখতে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। শুনেছি স্যাংশন দেওয়া হবে। স্যাংশন আরও দেয়া হোক, তাতে আমরা একটি আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রস্তুত হতে পারবো।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির একটি সফট ল্যান্ডিংয়ের দরকার আছে। কতদিন জ্বালাও পোড়া করা যায়। সেই ২০১৩ সাল থেকে জ্বালাও পোড়াও চলছে। যারা কমিউনিস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে জ্বালাও পোড়াও করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলো তারা টিকে থাকতে পারেনি। এর আগেও তো অনেকে ক্ষমতা এসেছিলো, কেউ কি ডেল্টা প্ল্যান দিতে পেরেছিলো? কেউ কি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট দিতে পেরেছিলো?

সেমিনারে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা পরিকল্পনা করতে পারে তারাই বাস্তবায়ন করতে পারে অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সেই পরিকল্পনা করেছে শেখ হাসিনা, সেই পরিকল্পনা করেছে আওয়ামীলীগ। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

ঢাবি ফার্মেসি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এজিএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম আব্দুল মঈন। স্বাগত বক্তব্যে দেন শফিউল আলম ভূঁইয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম।

আল সাদী ভূঁইয়া/এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।